ভাতরবর্ষ
আচ্ছা নেহা তোমার তল পেটে এই কাটা দাগটা কিসের?
বাসর রাতে চরম রোমাঞ্চকর মূহুর্তে এই কথাটা শোনার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলো না নেহা।
এদিকে নেহার মুখে কোন উত্তর না পেয়ে আবার ও জিজ্ঞেস করলো মজনু,,বললে না তো, তোমার তলপেটে এই কাটা দাগটা কিসের?
তারপর তার স্বামী মজনুর বুকের সাথে একেবারে লেপ্টে গেলো,নেহার চোখের পানি দিয়ে ইতিমধ্যে মজনুর বুকটা ভিজে একাকার হয়ে গেছে।
যদি ও মজনু জানে এই কাটা দাগের রহস্যটা কি,তবুও নেহার মুখ থেকে সে শুনতে চায়।
নেহা -আমি যদি আপনাকে এই কাটা দাগের রহস্যের কথা বলি,আপনি আবার আমাকে ছেড়ে দিবেন নাতো(অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে কথাটা বললো নেহা)
মজনু-তুমি নির্ভয়ে বলতে পারো,আমি তোমাকে কখনো ছেড়ে দিব না।
তারপর নেহা বলতে শুরু করলো,,,
ঘটনাটি কয়েক বছর আগের,তখন আমি নিউ টেনে পড়ি,তো এক বান্ধবীর বিয়েতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম।
অন্য সবার মতো আমার মন ও তখন প্রেমের জন্য দিওয়ানা হয়ে ছিলো।ভালোই চলছিলো বিয়ে বাড়িতে কাটানো মূহুর্তগুলো।
হঠাৎ আমার চোখ পড়ে নীল পাঞ্জাবি পড়া একটা ছেলের উপরে।দেখতে লম্বা চরা,হ্যান্ডসাম,স্মার্ট, এক কথায় যেকোন মেয়েকে ঘায়েল করতে তার একটা মুচকি হাসিই যথেষ্ট ছিলো।
মজনু-তারপর কি হলো(উৎসাহের সাথে জিজ্ঞেস করলো)
নেহা-এক গ্লাস পানি হবে,গলাটা একটু শুকিয়ে গেছে,,,
মজনু-হুমম এই নেও(পানির গ্লাস এগিয়ে দিয়ে)
পানি খেয়ে আবারও বলা শুরু করলো নেহা,,,
প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলি ওকে,সেদিন রাতেই ওকে প্রপোজ করি,আর বাবু(সেই ছেলেটা) ও আমার প্রপোজ একসেপ্ট করে।
এভাবে চলতে থাকে আমাদের প্রেম,একসময় বাবু আমার সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন করতে চায়,প্রথমে রাজী হইনি।
কিন্তু পরে রাজী হয়ে যাই,কারণ ওর প্রতি আমি এতোটাই মুগ্ধ হয়েছিলাম যে ওকে ছাড়া আমার জীবন অসম্ভব ছিলো।
প্লাস আমার শরীর ও তখন প্রথম কারো স্পর্শ পাওয়ার জন্য পাগল হয়ে ছিলো।
বাবুর সাথে রুম ডেট করার পর থেকে ও আমাকে এভয়েড করা শুরু করে,আমার সাথে ঠিকমতো কথা বলেনা।
আগের মতো কেয়ার করে না,তারপর একদিন হঠাৎ করে ফোন দিয়ে বলে ব্রেকাপ,শুধু এইটুক বলেই ফোন কেটে দিয়েছিলো।
আমাকে কোন কথা বলার চান্স দেয়নি।এভাবে চলে যায় কয়েকমাস একসময় আমি জানতে পারি,আমি মা হতে যাচ্ছি, কথাটা শোনা মাএ কলিজা ফেটে কান্না চলে আসে।
আমার এক বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ করে একটা ক্লিনিকে গিয়ে বাচ্চাটা নষ্ট করে দেই।
কিন্তু বিশ্বাস করেন তখন ও আমি শুধু মন থেকে ওকেই ভালোবাসি,আর হতে পারে এখন ও এই বেহায়া মনটা শুধু ওকেই চায়।
কিন্তু আমি আপনাকে ঠকাতে চাইনি,আমি বিয়ের আগেই আপনাকে Prrbook
Upworkmarket
postmaster
topguru
monstarpublic
usamarking
powerbank
cutly
Redifiv
bookstar
link Youtubbook</>
tumblrro
Postmind
Probook
SocialMarking
Prrmarsub
Hastagcode
Wortweb
wwwsmbook
quora-answer
curred-add
wordpress-wo
classifiedsa
Top-Backlinks
Aliexpress
Twin-M
F-s-a-m-f
Gabsocialm
Temp Mail
সব বলে দিতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু বাবা তার মাথায় হাত দিয়ে আমার কাছ থেকে কথা নেয়,যেনো আমি বিয়ের আগে এই কথাটা আপনাকে না বলি।
এতক্ষন শুধু শ্রোতার মত সবকিছু শুনে গেলো মজনু,যদি ও সে আগে থেকেই জানতো এই ব্যাপারে।
কিন্তু নেহা হয়তো একটা জিনিস জানেনা,তা হলো,মজনু স্কুল লাইফ থেকেই নেহা অনেক ভালোবাসতো কিন্তু ভয়ে বলতে পারতো না।
কিন্তু মজনু নিজে নিজে একটা জিনিস ঠিক করেছিলো,তার ভালোবাসা যদি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে একদিন নয়তো একদিন নেহা আমারই হবে।
আজ সত্যিই নেহা মজনুর হয়ে গেছে,থাক না কিছু অতিত তাতে কোন সমস্যা নেই মজনুর।মজনুর চিন্তা ধারায় অবসান ঘটে নেহার ডাকে,,,,
নেহা-হ্যালো মিঃ কি ভাবছেন এমন করে,,,
মজনু-ভাবছি,ভাবছি,ভাবছি আজ আর আমাদের বাসর করা হলো না,,,
নেহা-কেনো(লজ্জামাখা মুখে)
মজনু-চারদিকে তো আযান দিচ্ছে,এখন যদি বাসর শুরু করি তাহলে আজকে দিনের বেলায় আর আমাদের ঘর থেকে বের হওয়া লাগবে না।
মজনুর অদ্ভুত কথায় নেহা বেশ লজ্জিত হয়,অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে ফিক করে হেসে ফেলে,আর ভাবতে থাকে,এতো সহজে এত বড় একটা বিষয় কিভাবে মেনে নিলো ও,,,
নাকি কাল সকালের জন্য ওয়েট করছে,সকাল হলেই উকিল ডেকে তালাক দিয়ে দিবে,এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায় নেহা।
সকালে ঘুম ভেংগে অবাক হয়ে যায় নেহা,সত্যি সত্যি বাসায় তিন চারটা উকিলকে দেখা যাচ্ছে,তাহলে কি,,,,,,
.
.
চলবে........
.
গল্প :- হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা
পর্ব :- ০১
Writer :- Md Mojnu Islam
Comments
Post a Comment